কুমিল্লা জেলাধীন ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শিদলাই ইউনিয়নের কুমিল্লা-ব্রাহ্মণপাড়া সড়কের প্রায় আধা কিলোমিটার উত্তরে শিদলাই গ্রামে এই সুদৃশ্য ও কারুকার্যময় বাড়িটি অবস্থিত। ১৯৫৫ বংঙ্গাব্দ / ১৯২৫ খ্রিস্টব্দে তৎকালীন ধণ্যাঢ্য ব্যাক্তি জনাব আলতাফুর রহমান মিয়া (রঙ্গু মিয়া) এবং জনাব মোঃ হাবিবুর রহমান (ছন্দু মিয়া) এই দো’তলা বাড়ীটি নির্মান করেন।। ছন্দু মিয়া ছিলেন জেলা রেজিস্টার। তাহাদের পিতার নাম-মোঃ জারু মিয়া। প্রাসাদ অাকৃতির বাড়িটি ‘সাহেববাড়ি’ নামে পরিচিত। এই বাড়িটিতে বর্তমানে কেউ বসবাস করেন না। বাড়িটি জরাজীর্ণ ও পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। বাড়িটির পূর্বপাশে দুটি ঘাটসহ একটি বড় পুকুর আছে। এর একটি ঘাট সংরক্ষিত করা ছিল মহিলাদের জন্য।
তাহাদের শিদলাই ছমির উদ্দিন ফকিরের বাড়ীর ছিল পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায়। ১৮৫৫ সালে পলাশীর যুদ্ধে বাংলার স্বাধীনতা রক্ষায় নবাব সিরাজউদ্দৌলার পক্ষে যে সব দেশপ্রেমিক বীর সেনানীরা ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে জীবন দান করে গেছেন তাদেরই একজন ছিলেন শেখ লাল সাহেবের পিতা মোহন লাল। পলাশীর যুদ্ধের পর মিরজাফর পুত্র মিরনের অত্যাচার থেকে বাঁচার লক্ষ্যে রাতের আঁধারে তাহারা নৌকা যোগে পূর্ববঙ্গের ত্রিপুরা বর্তমানে কুমিল্লা জেলার কালিদাহ সায়য়ের পূর্বপাড়ে চলে আসেন। এই স্থানে পূর্বে কোন জনবসতি ছিলনা। তাই শেখ লাল সাহেব তার পিতামহ মাধব লালের নাম অনুসারে এই স্থানটির নাম রাখেন মাধবপুর এবং পরিবারসহ তিনি এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে থাকেন। পরবর্তিতে ইয়েমান থেকে আগত ধর্ম প্রচারক শেখ মহিউদ্দিন সাহেবের নিকট যিনি বর্তমান মিরপুরে বসতি স্থাপন করেছিলেন তাঁর নিকট শেখ লাল সাহেব আত্নীয়তার সম্পর্ক স্থাপন করে সনাতন ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস